নবীনগরে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫ জন আহত

মলয়া ডেস্ক 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ৫ জন বালু মহলের ইজারাদার ও শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রবিবার ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের সোনাবালুয়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।এসময় প্রায় শতাধিক গুলির আওয়াজে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত চারজনকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।অন্য ১জনকে উপজেলার সলিমগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন ১,কবির মিয়া (৪৫) পিতা  আউয়াল  মিয়া।২,সফিদ মিয়া (৪০) পিতা  মালেক মিয়া। 
৩,খলিল মিয়া (৪২) পিতা বাছেদ মিয়া।  
৪,ফারুক মিয়া(৪৩) পিতা কালন মিয়া।  
৫,আলকাছ মিয়া (৩৬) পিতা মৃত পাসা মিয়া।তারা সকলেই উপজেলার ধরাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসি ও বালুমহল ইজারাদার সূত্রে জানা যায় নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ মৌজায় অবস্থিত মেঘনা নদী থেকে সম্প্রতি প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যায়ে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বালু উত্তোলনের ইজারা পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুন্সি এন্টার প্রাইজ। ইজারা পাওয়ার পর থেকে মেঘনা নদীর জাফরাবাদ ও নতুন চর বালু মহালের বালু উত্তোলন শুরু করে। তবে মেঘনা নদীর ওপর প্রান্ত অবস্থিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার কিছু লোক এই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করতে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে বারবার দাবি করে আসছিলেন।ইজারাদার থেকে চাঁদার টাকা না পেয়ে গত দুইদিন যাবত অবৈধভাবে ছয়টি ড্রেজার দিয়ে চুরি করে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুর্বৃত্তরা। তখন স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে শরণাপন্ন হন ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্বৃত্ত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা (১সেপ্টেম্বর) রবিবার সন্ধ্যায় ২/৩টি স্পীডবোটযোগে এসে বালু মহালের ক্যাশ কাউন্টারে হামলা চালায়। এসময় শ্রমিকদের উপর অতর্কিতভাবে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়ে পাঁচজনকে গুরুতর আহত করে।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।