ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে পুলিশ কর্তিক জেলা সাংবাদিক লাঞ্চিত

 বাংলাদেশ সরকারের  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা সর্ব মহলে প্রশংসনীয়।
 
যেখানে আত্মীয় স্বজন প্রিয়জনের লাশ দাফন থেকে দূরে সরে দাঁড়িয়েছে,সেখানে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজ জীবনের পরোয়া না করে করোনা মৃত্যু রোগীর লাশ দাফনে একটুও পিছ পা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ প্রচার প্রকাশ করে সাধারণ জনগনকে সচেতন করে তুলতে দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছেন। রাষ্ট্রীয় সরকারের প্রধান থেকে শুরু করে পুলিশ প্রধান পর্যন্ত বার বার বলেছেন কোনভাবে যেন গনমাধ্যম কর্মীরা রাষ্ট্রীয় বেতনভুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সাধারণ মানুষ দ্বারা হয়রানি স্বীকার না হয়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানাধীন এলাকায় তা সম্পূর্ণ ভিন্নতা দেখা যায়।
 
আজ (৩ জুন বুধবার) সকালে নবীনগর থানাধীন সাহেবনগর গ্রামের দু'পক্ষের লোকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে নয়া যুগান্তর পত্রিকার জেলার প্রতিনিধি, দৈনিক দেশ পত্রিকার সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার ও মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিসোর্স রিভিউ ফাউন্ডেশনের সমগ্র বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী পরিচালক মোঃ বাবুল ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ফিরে  আসার পথে নবীনগর থানার এস আই মনির কতৃক লাঞ্চিত হয়।
 
লাঞ্চিত বাবুল জানান আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাহেবনগর কিন্ডারগার্ডেনের সামনে কর্তব্যরত থাকা এস আই মনির আমাকে চিনতে পেরে ডাক দিলে আমি তার কাছে গেলে সে তার সাথে থাকা একজন কনস্টেবল কে নির্দেশ দিয়ে বলে আমাকে গ্রেফতার করে সি এন জি তে ঢুকাতে,তার কথা মত সেই কনস্টেবল আমার পেন্টের পেছনে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে আমি আমার অপরাধের কথা জিজ্ঞেস করি।
 
তখন একটু দূরে থাকা নবীনগর থানার এস আই মামুন এগিয়ে এসে কনস্টেবলকে বলেন তুমি কি করতেছ তুমি কি জান উনি একজন সাংবাদিক, ছাড় বলছি। একথা শুনার সাথে সাথে নবীনগর থানার ওসি তদন্ত রহুল আমিন এস আই মনিরকে বলে তুমি কি করছ ওকে যেতে দেও। পরে আমি নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে সংবাদ সংগ্রহ করা থেকে বিরত থেকে চলে আসি।
 
জেলা প্রতিনিধি বাবুল আরো জানান,আমাদের মত লোকদের যদি এমন হয়রানির স্বীকার হতে হয় তবে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে, আমি একজন গণমাধ্যম কর্মী ও মানবাধিকার কর্মকর্তা জেনেও সে এমনটা করার সাহস কি করে পেলেন। এবং তার মূল উদ্দেশ্য কি তার সঠিক বিচার রাষ্ট্রীয় সরকারের কাছে দাবী করি। সঠিক বিচার না পেলে আমরা সংবাদ কর্মী তাদের কাছে বার বার লাঞ্চিত হতে হবে।
 
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
 
এই বিষয়ে নবীনগর থানার এস আই মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে phnewsbd.com কে বলেন,"আমি এটা করিনি যদি অন্য কেউ করে থাকেন এটা অত্যন্ত দুঃখজনক"।
 
এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের সাথে ব্যবস্থাপক সম্পাদক শাহিন আহমদ যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি  আমি খতিয়ে দেখবো।