নবীনগরে খাসজমি উদ্ধারে সহকারী কমিশনার (ভূমি)

মলয়া ডেস্ক-


কোনো জমি যদি সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত হয় এবং সেই জমিগুলি যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সরকার, এই জমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন অথবা অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে উক্ত ভূমিগুলিকে খাস জমি বলে। আরো সহজ করে বললে কোনো মৌজার ১ নম্বর খতিয়ানের জমিকে খাস জমি বলে। ১ নম্বর খতিয়ান সবসময় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ডকৃত। অপরদিকে অন্যান্য বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের যেমন বন বা পূর্ত কিংবা সড়ক ও জনপথ এর স্বত্বাধীন বা মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমিকে সরকারের খাস জমি হিসাবে গন্য করা যাবে না, এগুলো সরকারি জমি। সকল খাস জমিই সরকারি জমি কিন্তু সকল সরকারি জমি খাস জমি নয়।


নবীনগর উপজেলায় খাস জমি উদ্ধারে আলোচনায় রয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের নির্দেশনায় তিনি দিনরাত ছুটে বেড়ান। নিবার্হী কর্মকর্তার নির্দেশনায় তিনি সকল কাজ সুষ্ঠু ও  সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে থাকেন। সম্প্রতি তিনি রতনপুর ইউনিয়নের ভিটি বিষাড়া ইউনিয়নের ভিটি বিষাড়া মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ৫৬৩ দাগের ৪৯ শতক নাল জমি অবৈধ দখলদারদের নিকট থেকে উদ্ধার করেন। উক্ত জায়গাটি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘদিন নিজেদের দখলে রেখেছিল। খাস খতিয়ানের ৩০ লক্ষ টাকার মূল্যমান এই জমিটি সরকারের পক্ষে দখল নিয়ে লাল পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়া তিনি সম্প্রতিকালে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর মৌজায় ৭৫ শতক জায়গা উদ্ধার করেন। বর্তমানে এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৫ ঘরের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। তিনি তিতাস নদীর পাড় রক্ষায় বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেন। প্রভাবশালী মহলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নদীর তীর থেকে নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করে নদীর তীর রক্ষা করেন। তিনি শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া মৌজার ৪৯ শতক খেলার মাঠ উদ্ধার করে, এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন। পরিশ্রমী এই মানুষটি যেখানেই অভিযোগ পান, সেখানেই ছুটে যান। খাস জমি উদ্ধারের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নবীনগর উপজেলার ১৬১ টি মৌজার খাস ও অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সর্বশেষ প্রকাশিত বি.এস. খতিয়ানের সাথে এস.এ. ও সি.এস. খতিয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে এবং কোথাও গড়মিল হলেই দেওয়ানি আদালতে মামলা রুজু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া তিনি নবীনগরের সকলের উদ্দেশ্যে বলেন কোথাও খাস জমি বেদখল হয়ে থাকলে উপজেলা ভূমি অফিস সচিত্র তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করেন এবং সরাসরি সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে কথা বলার জন্য।