নবীনগরে চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সভাপতি একসাথে দরিদ্র কৃষকের ধান কাটতে মাঠে!!

ডেস্ক রিপোর্ট:                                                                   দেশে চলমান লক ডাউনের ফলে শ্রমিক সংকটের পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার হাওর অঞ্চলের কৃষকরা।

চলতি বুরোৎ মৌসুমে এই অঞ্চলে প্রতিবছর ধান কাটার জন্য আসেন দেশের উত্তরাঞ্চলের শ্রমিকরা।

এবছরও যথা সময়ে তাদের আসার কথা ছিল!
সারা দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি লক ডাউন থাকার জন্য এবার তারা না আসতে পারায় বিপাকে পড়েছেন নবীনগরে বুরোৎ চাষীরা।

যদিও পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যে একদিকে করোনা আতংক অন্যদিকে ধান পাকায় শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় আন্তরিক ভাবে পাকা ধান কাটার আগ্রহ নিয়ে কাজ করার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণে কৃত্রিম খাদ্য সংকট যেন তৈরি না হয় সেজন্য ধান কাটার জন্য বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ কষ্ট করে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের বাছিদপুর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক সালাম মিয়া দেড় বিঘা পাকা ধান কেটে দেয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মুসা,উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম কে জসিম উদ্দিন সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নেতৃবৃন্দ।

পবিত্র মাহে রমজান নিয়ে প্রচন্ড রোদের মধ্যেও এই সময় মানবিক বিপর্যয়ে দরিদ্র কৃষক সালাম মিয়ার পাশে সহায়তা স্বরুপ এমন মহৎ কাজে আরো যারা উপস্থিত থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তারা হলেন ইউপি সদস্য আবু তরাফ,উপজেলা যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কয়েস আহাম্মেদ,বাছিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু কাইয়ুম,সমাজ সেবক নুরুল ইসলাম,হেলাল উদ্দিন,আমীর হোসেন,আবু সায়েদ,জাকির বেপারী,কুদ্দুস মিয়া,ইকবাল হোসেন,হাবিবুর রহমান,আলমগীর হোসেন,জাকির হোসেন,রাছেল মিয়া,আনোয়ার হোসেন,অপু মিয়া,গিয়াসউদ্দিন,রুবেল মিয়া,কাজল মিয়া,তাকবীর হোসেন,বাবু সহ আরো অনেকেই।

এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুসা বলেন,-
আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি কৃষকের এক ইঞ্চি জমিও যেন ফসল কাটার বাহিরে না থাকে,দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কেউ যেন খাদ্য সংকটে না পড়ে এটা নিশ্চিত করতে কাঁচি হাতে নিয়েছি।
চেষ্টা করেছি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে।


উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম কে জসিম উদ্দিন বলেন,দেশের উত্তরাঞ্চলের শ্রমিকরা না আসতে পারায় কৃষকদের ধান কাটার যে শ্রমিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা রোধ করতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের এক হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই, আমাদের এই উদ্যোগ চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ।