সরকারি ত্রান যেখানে হতদরিদ্রের সোনার হরিণ সেখানেই মানবিক নেতা মোঃ পারভেজ হোসেনের সহযোগিতা

 স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা মহামারীতে সরকারের দেয়া ত্রান সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার হতদরিদ্রের।যেখানে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সকল উর্ধ্বতন কর্মকতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তার দেয়া ত্রান যেন সুষম বন্টনের মাধ্যমে সকল হতদরিদ্র পরিবারের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়।কিন্তু কে শুনে কার কথা,হতদরিদ্রা ত্রান শব্দটা শুধু শুনেই আসতছেন, বাস্তবিক অর্থে তা যেন সোনার হরিণ। উপজেলার বেশীর ভাগ এলাকার হতদরিদ্ররা সমাজের বিত্তবান ও জনপ্রতিনিধি দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে অর্ধাহারে অনাহারে জীবন অতিবাহিত করছেন এমনটাই ভুক্তভোগীরা জানায়।এই উপজেলায় ভুক্তভোগীরা তার চেয়ে ভাল কিছু আশা করা ভূল হবে বলে মনে করেন সমাজের অনেক সচেতন নাগরিকরা,তাদের মতে যেই উপজেলায় সরকারী ৩০ কেজি ত্রানের চাউলের শত শত খালি বস্তা স্থানীয় রাইছ মেইলে আগে থেকেই সংরক্ষিত থাকে সেই উপজেলায় সরকারী ত্রান হতদরিদ্রের জন্য সোনার হরিণ হওয়াটাই স্বাভাবিক।উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন হতদরিদ্র ইয়াকুব মিয়া জানায়,করোনা পরিস্থিতিতে অনেক কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করা সত্যেও সরকারী ত্রান তাদের চোখের সামনে এখন পর্যন্ত পড়ে নাই তার মত অনেকেই অনেক কষ্টে দিন যাপন করতেছেন।তার এই কথা শুনার পর মানবিক নেতা মোঃ পারভেজ হোসেন এর সহায়তায় তিনিসহ আরো অনেককে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা করা হয়। জিনদপুর ইউনিয়ন এর জিনদপুর বাস স্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে অন্যের জমিতে বসবাস করা বেদে সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে একই অবস্থা সরকারের দেয়া কোন ধরনের ত্রান সহযোগিতা না পেয়ে অতিকষ্টে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসতেছিল, তারা কোথাও কোন ধরনের সহযোগিতা না পেয়ে মানবিক নেতার স্বরনাপন্ন হলে তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে তাদের সহযোগিতা করেন।সরকারের নির্দেশনা মতে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ থেকে কেউ এই উপজেলায় আসলে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ঘোষণা করা হলে নবীনগর পৌর এলাকার নারায়নপুরে এক হতদরিদ্র পিকাপ চালক নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গেলে তার পরিবারের খাদ্যের সংকট দেখা দেয়,তখন সেই চালক সকল জায়গায় পরিবারের সবার খাদ্যের নিশ্চয়তার সহযোগিতা চেয়ে ব্যর্থ হলে মানবিক নেতা তার খাদ্যের নিশ্চয়তা প্রদান করেন। নবীনগর পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু অসহায় হতদরিদ্র হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন লকডাউনের কারনে কর্মশূন হয়ে পড়লে, তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে জীবন যাপন করে আসতেছিল।সেই সকল লোকদের পাশে গতকাল গভীর রাতে ছুটে যান খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এই মানবিক নেতা। তাদেরই একজন ভোলাচং পশ্চিম পাড়ার বিমল চন্দ্র শীল, পিতাঃ সাধন চন্দ্র শীল জানায়,তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর জসিম উদ্দিনের নিকট কয়েক বার সহযোগিতার জন্য গিয়ে নিরাশ হয়ে পরবর্তীতে পৌর মেয়রের স্বরনাপন্ন হলে তিনি সহযোগিতার আশ্বাস করেন কিন্তু দুই দিন যাবত পরিবার পরিজনকে নিয়ে সে অনাহারে থেকে যখন তার কাছ থেকেও কোন সহযোগিতা পাইতেছিল না ঠিক তখনই এই মানবিক নেতা তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, তাদের আশেপাশের হতদরিদ্র ৮০ টি পরিবার সরকারের দেয়া ত্রান,১০ টাকা কেজি মূল্যের চাউল, শিশু খাদ্য, এমনকি স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিজস্ব তহবিল কতৃক দেয়া ২৩ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগিতার কিছুই পায়নি তারা।এই সম্পর্কে ০৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলের মুঠোফোনে বার বার ফোন করে জানার চেষ্টা করলে সে ফোন রিসিভ না করায় পরে পৌর মেয়র এডভোকেট শিব সংকর দাস এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নয়া যুগান্তর কে জানায়, ৮০ টি পরিবারের সবাই যে সরকারের কোন ধরনের সহযোগিতা পায় নাই তা সঠিক নয়, হয়তো কেউ পেয়েছে কেউ পায় নাই, যারা এখন পর্যন্ত পায় নাই তাদের দ্রুত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস্থ করেন।